এপ্রিলে ২ কোটি আমেরিকান চাকরি হারিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রে এমনটা আর কখনোই ঘটেনি। করোনার কারণে বিশ্বের উন্নত এই দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবিকা মারাত্মক এক অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মহামারির কারণে গত এপ্রিলে ২ কোটি ৫ লাখ আমেরিকান চাকরি খুঁইয়েছেন।
করোনা মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে বেকারত্বের হার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত মাসে দেশটিতে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে হওয়া মহামন্দার পর যা সর্বোচ্চ। এছাড়া চাকরি হারানোর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছেই।
এটা শুধু কোনো সংখ্যা নয় এই পরিসংখ্যানের পেছনে রয়েছে এক একজন মানুষ, মহামারির কারণে যাদের জীবন ও জীবিকা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ এই পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি করোনায় কতোটা মন্দার মুখে পড়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি।
ক্যাপিটাল ইকোনোমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ পল অসওর্থ এক নোটে লিখেছেন, ‘যদিও দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে তথাপি এটা বলতে চাই যা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়ে এই সংখ্যাটা কম। যদি সঠিকভাবে হিসাব করা যেত তাহলে এই সংখ্যটা হতো ২০ শতাংশের কাছাকাছি।’
বেকারদের মধ্যে শ্রেণি ও লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন রয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এদের মধ্যে ১৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ হলো প্রাপ্তবয়স্ক নারী। এছাড়া ১৪ দশমিক ২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা ১৬ দশমিক ৭, এশিয়ানদের মধ্যে এই হার ১৪ দশমিক ৫ ও হিস্পানিকস ১৮ দশমিক ৯।
গত মাসে অর্থনীতির প্রধান সবগুলো খাতের মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তবে এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে পর্যটন, বিনোদন ও অবকাশযাপন কেন্দ্র। এপ্রিলে চাকরি হারানোদের মধ্যে এই সংখ্যা ৭৭ লাখ; যা মোট বেকারের ৪৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য সরবরাহ ও পানীয় খাতের ৫৫ লাখ মানুষ বেকার হয়েছেন।
এসএ