ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

তহবিল সংগ্রহে রোজা রেখে লন্ডনের রাস্তায় হাঁটছেন প্রবাসী দবিরুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ মে ২০২০

শতবর্ষী এক মানুষ লন্ডনের রাস্তায় হেঁটে হেঁটে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে তহবিল সংগ্রহ করছেন। তার সংগৃহীত তহবিলের অর্থ যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ ছাড়াও ৫০টি দেশের মানুষকে এই সংকটকালে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে। রোজা রেখেই তিনি প্রতিদিন এই কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই ব্রিটিশ নাগরিকের নাম দবিরুল ইসলাম চৌধুরী। ১৯২০ সালের পহেলা জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তারপর ইংরেজি সাহিত্য পড়ার উদ্দেশে ১৯৫৭ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান। পড়াশোনা শেষে ওই দেশেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী থেকে অবসর ক্যাপ্টেন শতবর্ষী টম মুর এমন কাজ করে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তিনি লন্ডনের বাগানে বাগানে হেঁটে হেঁটে ৪১ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। দবিরুল চৌধুরী টম মুরকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পথে নেমেছেন।

দবিরুল ইসলাম কিছু অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশে ২৬ এপ্রিল রাস্তায় নামেন। লন্ডনের বাগানে হেঁটে হেঁটে কয়েক ঘণ্টায় তিনি সেই কাঙ্খিত তহবিল সংগ্রহ করে ফেলেন। কিন্তু সেখানে থেমে না থেকে তিনি তার কাজ অব্যাহত রাখেন। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

Dabirul

রোজা রেখেই পথে পথে হেঁটে তহবিল সংগ্রহের এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শতবর্ষী দবিরুল রোজা রেখেই এই কয়েক দিনে ৯২ হাজার ৭০০ ডলার সংগ্রহ করেছেন। অথচ তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ১ হাজার পাউন্ড।

জাস্টগিভিং ডটকমে পেজ খুলে তহবিল সংগ্রহের এই উদ্যোগ নেন দবিরুল। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি টেলিভিশন ব্রডকাস্টার চ্যানেলে চলমান রমাদান ফ্যামিল কমিটমেন্ট (আরএফসি) কার্যক্রমের আওতায় তিনি হাজার পাউন্ড তুলতেই বাগানে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি।

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষদের একজন দবিরুল ইসলাম। পূর্ব লন্ডনের সেইন্ট আলবানসের বাসিন্দা তিনি। একসময় কমিউনিটি নেতা ছিলেন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সরকার কর্তৃক জারি নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় দুই মাস ছিলেন ঘরবন্দি।

জাস্টগিভিং ডটকমে পেজে দবিরুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন, ‘‌যদি জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া নায় হয় তাহলে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ দরিদ্র হয়ে যাবে। তৃতীয় বিশ্ব বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো হবে এর সবচেয়ে বড় ভূক্তভোগী। শিশু ও গরিব পরিবারগুলো চরম দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে।’

এসএ