জাপানে করোনা রোগীদের সঙ্গ দিচ্ছে রোবট
করোনা রোগীদের সঙ্গ দিতে অভিনব পন্থা এনেছে জাপান। সেখানে বিভিন্ন হোটেলে থাকা করোনা রোগীদের সঙ্গ দিচ্ছে রোবট। টোকিওর মেট্রোপলিটন সরকার রাজধানীর বেশ কিছু হোটেলে রোবট কর্মী নিয়োগ করেছে।
ওই হোটেলগুলোতে করোনা রোগীদের রাখা হয়েছে। এসব রোগীদের দেহে করোনার লক্ষণ খুব তীব্র নয়। তারা সেখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওর পাঁচটি হাসপাতালে এ ধরনের রোবট কর্মী রাখা হয়েছে। সেখানে দু'ধরনের রোবট রয়েছে। এগুলো নির্মাণ করেছে জাপানি প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক রোবোটিক্স।
সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে এমন করোনা রোগীদের গত ১৭ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত কিছু হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার।
টোকিওর বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতেই স্থানীয় প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিটি রোগীকে নিজের নাম পরিচয় অন্তর্ভূক্ত করতে হয়।
তারা তাদের রুমের মধ্যেই অবস্থান করেন। এসব রোগীরা দিনে মাত্র তিনবার খাবারের সময় হোটেলের লবিতে যেতে পারেন। তাদের খাবারের জন্য সময় নির্ধারণ করা রয়েছে।
এভাবে সারাদিন রুমের মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকতে থাকতে রোগীরা একঘেয়ে হয়ে উঠতে পারেন। সেজন্যই সেখানে তাদের সঙ্গ দিতে রোবট কর্মী রয়েছে।
টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের মুখপাত্র নাসাতাকা সুজি বলেন, কোয়ারেন্টাইনের সময়টা রোগীদের জন্য খুবই একঘেয়ে হয়ে ওঠে। আমার মনে হয় এসব রোবট তাদের আনন্দ দিতে পারবে এবং হোটেলে তাদের জীবনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য করে তুলতে পারবে।
সুজি আরও বলেন, হোটেলের লবি রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে রোগীরা যাওয়া-আসা করায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ওই এলাকায় রোবট দিয়ে সব ধরনের কাজ করানো গেলে হোটেলে অন্যান্য কর্মীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
প্রতিটি হোটেলে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মকর্তা, একজন চিকিৎসক, দু-তিনজন নার্স থাকে। তারা সবাই লবি, করিডর দিয়ে চলাফেরার সময় এবং প্রতিটি রোগীকে চেক আপের সময় প্রটেক্টিভ পোশাক পরে থাকেন।
অপরদিকে, রোবটগুলো প্রতিদিন রোগীদের রুমে হিয়ে তাদের তাপমাত্রা মাপার কথা মনে করিয়ে দেয়। একই সঙ্গে তারা 'করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ' এ ধরনের আশার কথা শুনিয়ে রোগীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে।
জাপানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮ জন। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪৩০ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ হাজার ৪৬০ জন।
দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১১ হাজার ১৯৮টি। তবে ৩০৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
টিটিএন/এমএস