নির্ধারিত সময়ের আগেই লকডাউন শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া
লকডাউন শিথিল করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত সময়ের আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
আগামী শুক্রবার থেকেই লকডাউনে জারি করা কড়াকড়ি শিথিল করা হবে। মরিসন জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার এ বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে।
মরিসন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করেছে। তারা ভালো অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি পুণরায় চালু করতে হবে। আমাদের সমাজকে আবারও গতিশীল করে তুলতে হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর থেকেই তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, রাশিয়ার মতো দেশগুলোকে।
সেদিক থেকে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি শুরু থেকেই করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব দিয়েছে। প্রথম থেকেই তারা চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
এমনকি দেশটিতে প্রথমদিকে বিদেশফেরত সব নাগরিককে ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, দেশজুড়ে লকডাউন জারি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে।
এর সুফলও পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অনেক দেশই যখন করোনার প্রকোপে হিমসিম খাচ্ছে তখন করোনাকে জয়ের পথে রয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ফলে আগামী সপ্তাহ থেকেই লকডাউন শিথিল হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশটির জনপ্রিয় বেশ কিছু বীচ খুলে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপকহারে করোনার পরীক্ষা চালাচ্ছে সরকার। আশা করা হচ্ছে আস্তে আস্তে করোনার প্রকোপ আরও কমতে শুরু করবে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬৬ এবং মারা গেছে ৯৩ জন।
দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ এবং মারা গেছে একজন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে হাজার ৭৩৯ জন। সেখানে অ্যাক্টিভ কেস ৯৩৪টি এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ৩১ জন।
টিটিএন/এমকেএইচ