ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় একশ কোটি মানুষ আক্রান্তের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে যদি জরুরি সহায়তা না দেওয়া হয় তাহলে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে বিশ্বব্যাপী একশ কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) আজ মঙ্গলবার এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী আইআরসি বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার বিস্তার কমাতে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা জরুরি। দুর্বল অর্থনীতি বিশেষ করে আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোকে এখনই আর্থিক সহায়তা করার মাধ্যমেই ব্যাপক আকারে এই মহামারির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেতে পারে।

সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে বলেছে, ‘আমাদের হাতে সময়ও খুব অল্প। অতএব দ্রুতই আমাদের এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’ প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে একটি প্রতিবেদনে তৈরি করেছে আইআরসি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১০০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হবে বলে আনুমানিক এক হিসাব দিয়েছে সংস্থাটি।

অস্থিতিশীল ও যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত কয়েক ডজন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে সংস্থাটি শঙ্কা প্রকাশ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেছেন, ‘অন্তত এই সংখ্যাটার কথা ভেবে হলেও আমাদের জাগতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই মহামারির সম্পূর্ণ, ধ্বংসাত্মক এবং অপ্রতিরোধ্য ক্ষয়ক্ষতি কিংবা বিপর্যয় এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর অর্থনীতি ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে অনুভূত হয়নি। এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে দাতাদেরকে জরুরিভিত্তিতে এসব দেশকে আর্থিক সহায়তা করতে হবে।’

মানবিক সহায়তায় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারগুলোকে অবশ্যই একজোট হয়ে কাজ করা উচিত বলে জানিয়েছেন ১৯৩৩ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের অনুরোধে প্রতিষ্ঠিত শরণার্থী এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সহায়তায় কাজ করা এই সংগঠনটির প্রধান।

এসএ