ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় মৃত্যু কমেছে স্পেনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩০১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; যা গত সোমবারের চেয়ে কম। করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপের এই দেশটিতে গত কিছুদিন ধরে প্রাণহানি কমে আসছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, স্পেনে করোনায় নতুন করে মারা গেছেন ৩০১ জন। যা সোমবারের চেয়ে কম। ওইদিন দেশটিতে ৩৩১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮২২ জনে; যা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানি।

দেশটিতে একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩০৮ জন; মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১০ হাজার ৭৭৩।

ইউরোপে করোনার ভয়াবহ তাণ্ডবের শিকার দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম। গত এক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো রোববার দেশটিতে সবচেয়ে কম ২৮৮ জনের করোনায় মারা গেছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু কমে আসায় দেশটিতে গত ছয় সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বন্দি ১৪ বছর বয়সের নিচের শিশুরা প্রথমবারের মতো বাইরে আসার অনুমতি পেয়েছে। আরোপিত বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনায় শিশুরা সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে এক ঘণ্টার জন্য বাড়ির বাইরে আসতে পারবে।

এছাড়া দেশটিতে লকডাউনে শিথিলতা এনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় খাতের কর্মীদের কাজে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। লকডাউন শিথিল করায় অপ্রয়োজনীয় খাতের ১৭ লাখের বেশি কর্মী কাজে ফিরেছে। কঠোর স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউন শিথিল ও ধারবাহিকভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির শেষ এখনও অনেক দূরে এবং এই ভাইরাসের কারণে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী টিকাদান কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটছে।

এশিয়া, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা। ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক বলেছেন, আমাদের সামনে এখনও অনেক পথ এবং প্রচুর কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই কেবল দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে ধরা পড়ে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ৩০ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৭৮০ জন।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

এসআইএস/এমকেএইচ