ভারতে করোনায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ লাফ
ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৫২ জন; যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৪৫২ জন।
শুক্রবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, শুক্রবার ১ হাজার ৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৭২৩ জনের।
এর আগে সকালের দিকে দেশটির সরকার জানায়, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৭৪৮ জন; যা দেশটিতে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর প্রায় ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে দেশটিতে মাত্র সাড়ে সাতদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও সেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। এর আগে দ্বিগুণ গত সাতদিন সময় লাগলেও সর্বশেষ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে ১০ দিন লেগেছে।
দেশটির সরকার বলছে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন জারি করায় তার সুফল মিলেছে। লকডাউনের কারণে করোনার বিস্তারের গতিতে লাগাম টানা গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার বলছে, দেশের ৮০টি জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাস বিস্তারের চেইন ভেঙে পড়ায় নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লাভ আগারওয়াল বলেন, গত ১৪ দিন ধরে দেশের ৮০টি জেলায় নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। জনগণ এবং প্রশাসনের সামষ্টিক প্রচেষ্টার কারণে করোনার বিস্তারের চেইন ভেঙে পড়েছে। সবুজ চিহ্নিত জেলাগুলোতে যাতে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত না হয় এবং এই তালিকায় নতুন নতুন জেলা যেন যুক্ত হয় এখন আমাদের সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৯২ হাজার ২০৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৫০ হাজার ৮৩৫ জন। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬১ জন।
করোনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে; দেশটিতে ৫০ হাজার ২৪৩ জনের প্রাণ কেড়েছে। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৫৪৯ জন মারা গেছেন ইতালিতে; তারপরই স্পেন।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসআইএস/পিআর