আকাশ-সাগরপথে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আনছে ইন্দোনেশিয়া
আকাশ ও সাগরপথে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আনছে ইন্দোনেশিয়া। চলতি সপ্তাহ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম থাকবে।
শুক্রবার পরিবহন মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেন আবারও বেড়ে যেতে না পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রমজান মাসকে কেন্দ্র করেই ইন্দোনেশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলো। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। অপরদিকে মুসলিমদের কাছে অন্যতম পবিত্র মাস রমজান। মুসলিমরা রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে রমজানে বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের গ্রামে যাওয়ায় নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, রমজান মাসের শেষে ঈদ করতে ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা গণহারে যেভাবে শহর থেকে গ্রামে যান তা এবার আর হচ্ছে না।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকার এই ঘোষণা দিতে দেরি করে ফেলেছে। কারণ এর আগেই প্রায় ১০ লাখ মানুষ জাকার্তা ছেড়েছেন। ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করে। সেখানে এটা ভাবা অসম্ভব যে কেউ ঈদে বাড়ি না গিয়ে শহরেই থাকবেন।
তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার সব ধরণের সামাজিক জমায়েতও নিষিদ্ধ করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সে কারণে লোকজনকে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
সাগরপথে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কার্যকর হবে। তবে আকাশপথে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শনিবার থেকে কার্যকর হবে যেন আগে থেকে বিমানের টিকিট কেটে রাখা ব্যক্তিরা কোনো ধরনের অসুবিধায় না পড়ে।
ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭৭৫। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬৪৭ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৬০ জন।
টিটিএন/এমএস