আমিরাতেও তারাবিহ ঘরে, স্বাস্থ্যকর্মীদের রোজা না রাখার পরামর্শ
সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এবার রমজানে তারাবিহসহ অন্যান্য নামাজ বাড়িতেই আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের রোজা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ আমিরাত ফতোয়া কাউন্সিল স্থানীয় সময় রোববার বিবৃতি দিয়ে এই নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে বলা হচ্ছে, ‘সুস্থ মানুষ অবশ্যই রোজা রাখবেন কিন্তু যারা সামনে থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের রোজা রাখার প্রয়োজন নেই।’
স্বাস্থ্যকর্মীদের রোজা না রাখার পরামর্শ দিয়ে ফতোয়া কাউন্সিল বলছে, ‘যদি স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করেন রোজা রাখলে তারা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন কিংবা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে তাহলে তাদের রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। কেননা করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু না হওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশটির সর্বোচ্চ ওই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রমজান মাসু জুড়ে মুসলিমদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরের ক্ষেত্রে একই নির্দেশনা প্রযোজ্য। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমিরাতে ইতোমধ্যে সব ধরনের উপাসানলয়ে প্রার্থনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে।
ফতোয়া কাউন্সিলের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘জমায়েতের সঙ্গে প্রার্থনা করা হলে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ইসলামে কঠোরভাবে এর বিরুদ্ধে নিষেধ রয়েছে।’ মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি আমিরাতে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৭৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছেন।
জিসিসি জোটভূক্ত ছয় দেশের মধ্যে সৌদির পরপরই আমিরাতে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সৌদিতেও ইতোমধ্যে ২৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছে ১৬০ জন। দেশটি জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি তারাবিহ ঘরে বসে পড়াসহ মক্কাও মদিনায় নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এসএ