জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনও কোনো আশার আলো চোখে পড়েনি। এরইমধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অনেক দেশে লকডাউন শিথিল করার দিকে এগোচ্ছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসেবে ইতোমধ্যে ২৩ লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ।
ইতালি-স্পেনের পর করোনার থাবায় এখন বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। এদিকে জাপানেও আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শনিবার জানিয়েছেন, নতুন আরও ৫৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরফলে জাপানের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৬১ জনে। তবে টোকিওর কাছে যে ক্রুজ শিপটি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে সেটা আক্রান্তের সংখ্যা জাপানের আক্রান্তের সংখ্যার সাথে সমন্বয় করলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ হাজার ৭৩ জন। মোট মৃত্যুর স্যংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৪।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় এ সংখ্যা নিতান্ত নগণ্য। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, জাপান সীমিত আকারে পরীক্ষা করে কেব এ সংখ্যা পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আসলে অনেক বেশি হবে।
অবশ্য দেরিতে হলেও জাপান টোকিও ও অন্যান্য জায়গায় আরও টেস্টিং সেন্টার স্থাপন করছে। এবং এতদিন করোনার সন্দেহ হলে ও চিকিৎসার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছিল সেখানেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
১৭শ অভিবাসীকে জঙ্গলে আটকে রেখেছে পানামা
যুক্তরাষ্ট্রগামী প্রায় ১৭শ’ অবৈধ অভিবাসীকে জঙ্গলের মধ্যে একটি ক্যাম্পে আটকে রেখেছে মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্তের পর এ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কলম্বিয়া সীমান্তবর্তী লা পেনিতা এলাকায় বন্দী রয়েছেন এসব অবৈধ অভিবাসী। ক্যাম্পটিতে মাত্র ২০০ মানুষ থাকার ব্যবস্থা থাকলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রায় আটগুণ বেশি মানুষকে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই এসব অভিবাসীর মধ্যে ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আটক অভিবাসীদের খাবার, পানি, ওষুধসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে স্থানীয় সরকার, ইউনিসেফ ও রেড ক্রস।
চীনকে পরিণতি ভোগ করতে হবে : ট্রাম্প
করোনাভাইরাস নিয়ে চীনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি জেনে-শুনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে তবে তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তিনি বেইজিংয়ের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রতিদিন হোয়াইট হাউস থেকে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনার কারণে যে মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা চীনে শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। ট্রাম্প বলেন, এই ভাইরাসের জন্য এখন পুরো বিশ্বকেই ভুগতে হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে আজও ৫৯৬ জন আক্রান্ত
সিঙ্গাপুরে গত কয়েকদিন ধরে হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শনিবারও দেশটিতে নতুন করে ৫৯৬ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। এদিনও আক্রান্তদের বেশিরভাগই ডরমিটরিতে বসবাসকারী অভিবাসী শ্রমিক। রোববার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে মাত্র ২৫ জন সিঙ্গাপুরিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা। বাকিরা সবাই অভিবাসী।
এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৮৮ জন। তবে এদিন আর কারও প্রাণহানি ঘটেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১১-ই রয়েছে। এর আগে, শনিবার ৯৪২ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয় সিঙ্গাপুরে। তাদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক বা স্থায়ী অধিবাসী। বাকি সবাই বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসী।
এনএফ/এমকেএইচ