চীনে নতুন করে স্থানীয়দের আক্রান্তের হার বাড়ছে
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কয়েক মাসের প্রচেষ্টার পর চীন এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। গত মাসে চীনের উহান শহরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোঁঠায় পৌঁছায়।
কিন্তু গত কয়েকদিনে দ্বিতীয় দফায় চীনে নতুন করে আবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে বহিরাগতদের মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে বহিরাগতদের মাধ্যমে চীনে নতুন করে মহামারির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয়দের মধ্যেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, চীনে বহিরাগতদের মধ্যে আক্রান্তের হার কমেছে। অপরদিকে স্থানীয়দের মধ্যে আক্রান্ত বাড়ছে।
অপরদিকে, রাজধানী বেইজিংয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবার স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে স্থানীদের মধ্যে আক্রান্ত বাড়ছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, বুধবার নতুন করে বহিরাগত ৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬। অর্থাৎ বহিরাগতদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত তিনদিন ধরেই বহিরাগতদের মধ্যে আক্রান্তের হার কমতে দেখা গেছে।
অপরদিকে, স্থানীয়দের মধ্যে আক্রান্ত বাড়ছে। নতুন ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আগের দিনের হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০। অপরদিকে, বেইজিংয়ে নতুন করে স্থানীয়দের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিনজন। গত ২৩ মার্চের পর প্রথমবার সেখানে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটল।
বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৩৪১। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ জন।
চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪২ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৭ হাজার ৮৯২ জন। তবে ৯৫ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
টিটিএন/জেআইএম