গণমাধ্যম রক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার ৯ কোটি ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা
করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমগুলোকে টিকিয়ে রাখতে প্রায় নয় কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলীয় সরকার। এতে ৪১ মিলিয়ন ডলারের করছাড় এবং ‘রিজিওনাল জার্নালিজম প্রোগ্রাম’র আওতায় আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থসহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া, বছরের বাকি সময়ের জন্য কন্টেন্ট কোটাও বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী পল ফ্লেচার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ব্রডকাস্টার ও সংবাদপত্রগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে।
ফলে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে আমরা নাটক, শিশুতোষ অনুষ্ঠান ও ডকুমেন্টারি কন্টেন্টগুলোর ওপর বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা এবং ২০২০ সালের জন্য টেলিভিশন সাবস্ক্রিপশন স্থগিত করছি।
এ স্থগিতাদেশ ২০২১ সালেও চলবে কি না সে বিষয়ে চলতি বছরের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় টিভি ও রেডিওগুলো ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক সম্প্রচার করের ওপর শতভাগ ছাড় পাবে। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ছাড়প্রাপ্তির হিসাব শুরু হবে।
‘পাবলিক ইন্টারেস্ট নিউজ গ্যাদারিং’ (পিআইএনজি) কর্মসূচির মাধ্যমে আঞ্চলিক টিভি, সংবাদপত্র ও রেডিওগুলোকে ৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে আঞ্চলিক ও ক্ষুদ্র প্রকাশকদের চাকরি এবং উদ্ভাবনী প্যাকেজে বরাদ্দ তহবিল পুনর্নির্ধারণসহ নতুন বরাদ্দ হিসেবে ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে।
তবে এই প্যাকেজ গণমাধ্যমকে কতটা সাহায্য করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিশেষজ্ঞ ক্যাথরিন শাইন বলেন, ‘এই তহবিল কীভাবে কাজ করবে, তা যথেষ্ট কি না এবং আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলো তা ঠিকভাবে পাবে কি না- এগুলো নিশ্চিত নয়। তারা এমনিতেই খুব একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থায় ছিল না, এখন করোনাভাইরাস মহামারি তাদের একেবারেই খাদের কিনারে নিয়ে গেছে।’
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৪০ জন, মারা গেছেন ৬৩ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন দুই হাজারেরও বেশি রোগী।
সূত্র: এবিসি নিউজ
কেএএ/এমএস