ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শোক আতঙ্ক কেটে স্বাভাবিক হচ্ছে ইতালি, খুলছে দোকান-ব্যবসা কেন্দ্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০২০

লকডাউন একেবারে প্রত্যাহার না করে সতর্কতার সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার থেকে কিছু দোকান ও ব্যবসা কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে করোনায় বিপর্যস্ত দেশ ইতালি। প্রধানমন্ত্রী গিউসেপ কোঁতের স্বাক্ষরিত এক সরকারি নির্দেশনায় আজ এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর সিএনএন।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, পুনরায় খোলার অনুমতিপ্রাপ্ত তালিকায় রয়েছে বইয়ের দোকান, লন্ড্রি, স্টেশনারি শপ এবং নবজাতক ও শিশুদের জন্য পোশাক বিক্রির দোকানগুলো। তবে দেশটির কিছু অঞ্চল লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলতে বিলম্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিছু বনায়ন, ল্যান্ডস্কেপ কেয়ার এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও জলবাহী কাজের উৎপাদন কার্যক্রমও পুনরায় চালুর অনুমতিও দিয়েছে দেশটির সরকার। কম্পিউটার প্রস্তুতকারক এবং কাগজ ও কার্ডবোর্ড পণ্য পাইকারি বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারবে।

সরকারি ওই নির্দেশনা অনুযায়ী এই পদক্ষেপের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত। সিএনএন’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালির সরকার প্রথম দফায় এসব দোকান ও ব্যবসা কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় বড় আকারে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

আগামী ৩ মে পর্যন্ত দেশটিতে লকডাউন নির্দেশনা জারি রয়েছে। এরপর ইতালি লকডাউন প্রত্যাহার করে দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কাজ শুরু করবে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় দফায় আরও বৃহৎ আকারে অনেক প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় চালুর অনুমতি দেওয়া হবে।

ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইএসএস) এর সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক গিয়ান্নি রেজ্জা বলেন, মৃত্যুর হার এবং মহামারি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই সময়ে যা করা দরকার তা করতে হবে। তবে দ্বিতীয় দফায় এখনই নয়।

ইতালিতে মহামারি করোনার সবচেয়ে বড় প্রকোপ পড়েছে লোম্বার্ডি ও ভেনেটো অঞ্চলে। তাই এখানে বইয়ের দোকান ও স্টেশনারি শপ খোলার অনুমতি এখনই দেওয়া হচ্ছে না। রাজধানী রোমে যেই অঞ্চলে পড়েছে সেই লাজিওতে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে বইয়ের দোকার খোলার অনুমতি মিলবে।

সরকারি ঘোষণায় এও বলা, যেসব এলাকায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হচ্ছে সেসব অঞ্চলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত নিয়ম, যেমন পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, মাস্ক ও গ্লাভস পরা এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার মতো বিষয় যথাযথভাবে পালনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এসএ