করোনাযুদ্ধে জয়ের সুবাতাস তাইওয়ানে
এক মাসেরও বেশি সময় পর তাইওয়ানে আজ করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়নি। করোনা মহামারিতে পুরো বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, তখন ভাইরাসটি প্রতিরোধে এটা তাইওয়ানের সফল হওয়ার সুবাতাসই বটে।
করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের কাছাকাছি তাইওয়ানের অবস্থান। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩৩৮ জনই বিদেশফেরত। আর মারা গেছেন ৬ জন। দেশটিতে নতুন করে আজ কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চেন শিহ-চুং একটি সংবাদ সম্মেলনে দ্বীপরাষ্ট্রটির ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা আশা করি এটা (করোনার সংক্রমণ) শেষ হয়ে গেছে। তবে আমাদের এখনও সতর্ক থাকা দরকার। অবশ্যই আজ নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত না হওয়ায় আমরা খুশি।’
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর চীনের খুব কাছে থাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ তাইওয়ানকে ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অঞ্চল হিসেবে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কেননা সেখানকার সাড়ে আট লাখ মানুষ চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করেন।
কিন্তু ২০০৩ সালের মহামারি সার্স ভাইরাস থেকে তাইওয়ান যে শিক্ষা নিয়েছিল তাই এবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সেখানে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সার্স ভাইরাস তাইওয়ানে মারাত্মক প্রভাব ফেললেও এবারের করোনায় সেই চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।
উহানে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর শহরটি থেকে আসা সব যাত্রীকে পরীক্ষার পদক্ষেপ নেয় তাইওয়ান সরকার। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপক হারে পরীক্ষা, রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও কঠোর কোয়ারেন্টাইন ছাড়াও অনেক পদক্ষেপ নেয় দেশটি।
সূত্র: আলজাজিরা
এসএ