ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ছয় মাস বয়সেই ওপেন হার্ট সার্জারি, এবার করোনার সঙ্গে লড়াই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০

ছয় মাসের ফুটফুটে শিশু এরিন। জন্মের পরপরই হৃদযন্ত্রের সমস্যা ধরা পড়ে তার, করতে হয় ওপেন হার্ট সার্জারির মতো ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার। কয়েক মাস পর যখন কোনোমতে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে সে, এবার আবারও একই লড়াই লড়তে হচ্ছে ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসের কারণে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা তার হৃদয়বিদারক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এত অল্প বয়সেই বড় বড় রোগের সঙ্গে পাঞ্জা লড়া শিশুটিকে অক্সিজেন সহায়তা দিতে হচ্ছে সিপিএপি যন্ত্রের মাধ্যমে। এর মোটা নল লাগানো মেয়েটির ছোট্ট মুখে।

হাসপাতালে সন্তানের পাশে মাত্র একজন থাকার নিয়মের কারণে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়েছে বাবা ওয়েন বেটসকে (৩২)। আর লিভারপুলের আল্ডার হে শিশু হাসপাতালে এরিনের পাশে থাকছেন তার মা এমা বেটস (২৯)। তবে বাড়ি গেলেও করোনা আক্রান্ত সন্তানের সংস্পর্শে আসায় ওয়েনকেও হোম-আইসোলেশনে থাকতে হবে।

এ দম্পতির বিশ্বাস, এত অল্প সময়েই অনেক বড় বড় রোগের সেঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছে এরিন। এবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও জয়ী হবে তাদের সাহসী সন্তান।

আর এর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন শিশুটির মা। তিনি বলেন, ‘দয়া করে সবাই এরিনের জন্য দোয়া করবেন। আমরা ভাইরাসের কারণে তাকে হারাতে পারব না। সে এরইমধ্যে অনেক লড়াই করে এসেছে।’

এমা বলেন, ‘আশা করি যারা ভাইরাসটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তারা এই লেখাটি পড়বেন আর বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’

মেয়েটির বাবা ওয়েন বেটস জানান, মাস ছয়েক আগে যখন তাদের মেয়ের জন্ম হয়, তারা যেন হাতে চাঁদ পেয়েছিলেন। কারণ টানা ১০ বছরের চেষ্টার পর যখন তারা সন্তানলাভের আশা প্রায় হারাতে বসেছিলেন, তখনই তাদের ঘরজুড়ে আসে প্রথম সন্তান এরিন। কিন্তু জন্মের পর থেকেই নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছিল শিশুটি। গত ডিসেম্বরে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। জানুয়ারিতে সে একটি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ব্রঙ্কায়োলাইটিস ও নিউমোনিয়ায় ভুগেছিল। এসময় তার শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই তাকে সিপিএপি দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল। এরমধ্যেই গত শুক্রবার শিশুটির শরীরে ধরা পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

তবে এতকিছুর পরেও এরিনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের প্রাণান্ত চেষ্টার কথা বলতে ভোলেননি তার বাবা-মা। এরজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন এ দম্পতি।

সূত্র: ডেইলি মেইল

কেএএ/পিআর