ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনায় ব্রিটেনে ১৯ চিকিৎসক-নার্সের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ চিকিৎসক ও নার্সের প্রাণহানি ঘটেছে। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।

তিনি বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) ১৯ জন চিকিৎসক এবং নার্স মারা গেছেন। কোভিড-১৯ এর লড়াইয়ে সামনের সারির কতজন যোদ্ধা প্রাণ হারালেন সেই তালিকা প্রকাশের ওপর গুরুত্বারোপের একদিন পর ম্যাট হ্যানকক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তবে দেশটির প্রধানমন্ত্র নার্সিং কর্মকর্তা করোনায় প্রাণ হারানো নার্স এবং চিকিৎসকদের তালিকা প্রকাশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের নাম তালিকাবদ্ধ করাটা একেবারে অযৌক্তিক। কেননা মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসক ও নার্সদের পরিবার পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি কিনা সেটি আমরা এখনও তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হতে পারিনি।

লন্ডনের রয়াল কলেজ অব নার্সিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যাম ডোনা কিননায়ার বলেন, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে কাজ করার কারণে চিকিৎসক এবং নার্সরা মারা যাচ্ছেন না। বরং তারা মারা যাচ্ছেন যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে কাজ করার কারণে।

ব্রিটেনে করোনার ভয়াবহ এই মহামারিতে চিকিৎসকদের ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এবং অন্যান্য সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ চিকিৎসক দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে খোলা চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে পিপিই সঙ্কট সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। পরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা যান এই চিকিৎসক।

দেশটির দৈনিক দ্য মেট্রো বলছে, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই না থাকায় অনেক নার্স এবং চিকিৎসক পলিথিনের পিপিই তৈরি করে ব্যবহার করছেন। গত মাসের শেষের দিকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তিনজন নার্স ময়লা ফেলার পলিথিন ব্যাগের পিপিই বানিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছিলেন। পরে ওই তিনজন নার্সও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ড্যাম ডোনা বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত টেলিফোনে চিকিৎসক এবং নার্সদের সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগ পাচ্ছেন।

ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮ হাজার ৯৫৮ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৫৮ জন।

এসআইএস/পিআর