ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনার বিস্তার ঠেকাতে ফের নীতি বদল ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

গোটা বিশ্ব এখন একযোগে লড়ছে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। দেশে দেশে মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রাথমিকভাবে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর এ লড়াই চলছে। এর ফলে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ছে গোটা বিশ্ব।

কতদিন এ অবস্থা চলবে তার ঠিক নেই। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে এমন আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন যে, যতদিন না এই ভাইরাসের কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়া ঠিক হবে না।

এদিকে ভারতের চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করে র্যাপিড অ্যান্টিবডি নির্ভর রক্তপরীক্ষা এবং আরও বেশি লালারস নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।

করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে ভারতে মূলত উপসর্গ থাকলে তবেই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নীতি পরিবর্তন করে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর) এপ্রিলের প্রথমে জানায়, যেসব এলাকায় আক্রান্ত বেশি (হটস্পট) বা যেখানে বহু লোকের জমায়েত হয়েছে, সেখানে ব্যাপক হারে, র্যাপিড অ্যান্টিবডিনির্ভর রক্তপরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে সেই নির্দেশিকায় ফের পরিবর্তন এনে তারা জানায়, হটস্পট এলাকায় ফ্লু-এর উপসর্গ (জ্বর, নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া, গলা ব্যথা, কাশি) থাকলে সরাসরি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করাতেই হবে। তবে যারা এই উপসর্গ নিয়েই সাত দিন কাটিয়ে দিয়েছেন, তাদের প্রথমে র্যাপিড অ্যান্টিবডিনির্ভর রক্তপরীক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ফ্লু-এর উপসর্গ থাকলে র্যাপিড টেস্টে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হয়, তাতে বিশেষ অ্যান্টিবডি রয়েছে কি না। তা থাকলে লালারস নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

বেশি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাফল্যের বিষয়টি নজরে আসে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন প্রত্যেককে সে দেশে কড়া নজরদারির আওতায় আনা হয় প্রথমেই। প্রাথমিকভাবে ৬০০টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে তিন লাখেরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

বলা হচ্ছে, ‘‘শুধু লকডাউন করে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন বা হালকা বা মাঝারি মাত্রায় উপসর্গ যাদের রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে পরীক্ষা করতে হবে। উপসর্গ নেই, কিন্তু দেহে ভাইরাস লুকিয়ে রয়েছে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে এ ধরনের রোগীদের চিহ্নিত করে নমুনা পরীক্ষা না হলে, লকডাউন থেকে বের হওয়া সম্ভব না।

সূত্র : আনন্দবাজার

এনএফ/এমএস