করোনার ফায়দা নিচ্ছে বোকো হারাম-আইএস-আল কায়েদা
গোটা বিশ্ব এখন একযোগে লড়ছে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। দেশে দেশে মানুষলে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রাথমিকভাবে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর এ লড়াই চলছে। এর ফলে কার্যত স্থবির হয়ে পড়ছে গোটা বিশ্ব।
গোটা বিশ্বের মানুষ যখন এভাবে লড়ছে তার মধ্যেও পশ্চিম আফ্রিকায় জঙ্গি হামলা বাড়িয়েছে বোকো হারাম। আবার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠী মোজাম্বিকের একটি শহর দখল করে নিয়েছে।
গেল রোববার ক্যামেরুনের উত্তরাঞ্চলের এক গ্রামে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সাতজন প্রাণ হারান৷ হামলাকারী দুজন বোকো হারামের সদস্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন। ২৩ মার্চ আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত বোকো হারামের একটি অংশ শাদের এক সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়৷ এতে ৯২ জন সশস্ত্র সৈন্য প্রাণ হারান৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শাদের যুদ্ধে এটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন।
‘ইসলামিক স্টেট ফর ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স' বা আইএসডাব্লিউওপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোকো হারামের আরেক অংশ ২৪ মার্চ নাইজেরিয়ার সৈন্যদলের ওপর হামলা করে। এতে অন্তত ৪৭ জন সৈন্য প্রাণ হারান বলে স্থানীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে। নাইজেরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬। মারা গেছেন ছয় জন। এদিকে মিসরের দুজন সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের কার্যক্রম বেড়েছে। সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য অন্তত তিনটি বড় হামলা ঠেকিয়েছে বলে জানান তারা।
ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোজাম্বিকের এক জঙ্গি সংগঠন ২৪ মার্চ বন্দর নগরী মোসিম্বোয়া ডা প্রাইয়ায় হামলা চালিয়ে শহরটিকে খেলাফতের অংশ ঘোষণা করেছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জন।
মার্কিন জেনারেল স্টেফান টাউনসেন্ড সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট মিলিটারি টাইমসকে জানান, করোনার কারণে তারা সোমালিয়ায় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু আল কায়েদা, আল শাবাব ও আইসিস সংকটের ফায়দা তোলার ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
এনএফ/এমএস