কানাডার ৩০ লাখ মাস্ক আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে কানাডার প্রাপ্য ৩০ লাখ মাস্কের চালান যুক্তরাষ্ট্র আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্টারিও প্রদেশের সরকারপ্রধান ডগ ফোর্ড। চুক্তি থাকার পরেও ট্রাম্প প্রশাসনের এমন আচরণ ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গ্লোব্যাল নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফোর্ড জানান, চলতি সপ্তাহে কানাডার ৩০ লাখ মাস্কের চালান আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো সময়মতো না পেলে মহামারির প্রকোপ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন এ নেতা।
তিনি আরও জানান, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কানাডার ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণের (পিপিই) মজুত ফুরিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কয়েকদিন থেকেই মেডিকেল উপকরণ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ মিত্র দেশগুলো। চুক্তি থাকার পরেও বিপদের দিনে এমন কাণ্ড প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় নয় বলেও অভিযোগ করেছে অনেকেই।
যদিও করোনা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থাই শোচনীয়। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত তারাই। সেখানে ইতোমধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মারা গেছেন প্রায় ১১ হাজার।
এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ৩এম-কে দেশেই মাস্কের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সেগুলো বাইরে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বিপাকে পড়েছে কানাডা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
মাস্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। মাস্কের চালান আসবে বলে এখনও আশাবাদী তিনি।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, কানাডায় এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬৭ জন, মারা গেছেন ৩২২ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৬১৩ জন।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/জেআইএম