ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যেভাবে চাপা পড়ে কেনেডি হত্যা রহস্য

প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের রহস্য ধামাচাপা দিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র একজন সাবেক পরিচালক। সিআইএর একটি গোপন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৩ সালে তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৩ সালে যখন কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হয় তখন সিআইএ’র পরিচালক ছিলেন জন ম্যাককোন। ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিয়োজিত একটি ফেডারেল তদন্ত কমিশনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আটকে দিয়েছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনের লেখক ও সিআইএ’র ইতিহাসবিদ ডেভিড রবার্জ লিখেছেন, ওয়ারেন কমিশন কেনেডি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিল তা ম্যাককোনসহ অন্যান্য সিআইএ কর্মকর্তা ধামাচাপা দিয়েছিলেন। এ খবর দিয়েছে পলিটিকো ম্যাগাজিন।

কেনেডি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে ওয়ারেন কমিশন নামে পরিচিতি পায়। ১৯৬৩ সালের নভেম্বর মাসে জনসনের পক্ষ থেকে ওই কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

রবার্জ লিখেছেন, ম্যাককোন ও অন্যান্য সিআইএ কর্মকর্তা ওয়ারেন কমিশনের দেয়া তথ্য লুকিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি আরো লিখেছেন, সিআইএ প্রমাণ করতে চেয়েছিল, কেনেডির ঘাতক লি হার্ভি ওসওয়াল্ড একাই এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন এবং তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল না। ওয়ারেন কমিশনের প্রতিবেদনে ওসওয়াল্ডের ব্যাপারে এ ধরনের যেসব তথ্য ছিল সিআইএ শুধু সেগুলোকে বড় করে তুলে ধরে এবং বাকি তথ্য গোপন রাখে।

অবশেষে ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়, ওসওয়াল্ড একাই কেনেডি হত্যার গোটা পরিকল্পনা করেন এবং তাকে গুলি করে হত্যা করেন। অথচ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একটি তদন্ত কমিটি ১৯৭৮ সালে জানায়, ওয়ারেন কমিশনের রিপোর্টকে বিকৃত করা হয়েছিল এবং কেনেডি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিহত হয়েছিলেন।

পরে অনেক গবেষক বলেছেন, কেনেডিকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল অনেক বড় একটি মহল এবং ওসওয়াল্ড শুধুমাত্র ওই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন। তাদের মতে, কেনেডি হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

এসআইএস/পিআর