ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সৌদিতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ করোনা আক্রান্ত

ক ম জামাল উদ্দীন | প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২০

সৌদি আরবে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৮৮৫ জনে। মোট মৃত্যু ২১।

বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্রে সৌদি আরবে তিনজন বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে।

এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটির আজইয়াদ, আল মাসাফি, মিসফালাহ, আল হুজুন, নাকাসা ও হোশ বকর এলাকায় প্রবেশ বা বহির্গমন নিষিদ্ধ থাকবে। কারফিউ চলাকালীন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে শুধু চিকিৎসা ও নিত্যপণ্য কেনাকাটায় বাইরে যাওয়া যাবে।

এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে সৌদি আরবের ব্যস্ততম এলাকা মক্কা, মদিনা ও রাজধানী রিয়াদে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। ২৩ মার্চ থেকে দেশটিতে ২১ দিনের আংশিক কারফিউ শুরু হয়। তখন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় ঘোষণা করা হয়েছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত করা হয় করোনাভাইরাস। এরপর ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭২ হাজার ২২৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাস। মারা গেছে ৩৭ হাজার ২২ জন।

এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতোমধ্যে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসের চলতি প্রাদুর্ভাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হয়ে এসেছে।

তিন মাস আগে চীনের উহানে প্রথম সংক্রমণ ঘটার পর ইউরোপকে বিপর্যস্ত করে এখন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস মহামারির নতুন কেন্দ্র। গত ১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে হাতেগোনা কয়েকজন হলেও এক মাসের ব্যবধানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক থেকে আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, সামনে খুব কষ্টের সময় আসছে।

এদিকে, ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইতালি ও স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইতালি ও স্পেন দুই দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন, আর স্পেনে ১ লাখ ৪ হাজার ১১৮ জন।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে ৮১ হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩১২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ২৩৮ জন।

এমআরএম/এমকেএইচ