করোনা চিকিৎসায় দ্রুতই অ্যাভিগান ওষুধ উৎপাদন করবে জাপান
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যাভিগ্যান ওষুধ খুব শিগগিরই অনুমোদন দিতে যাচ্ছে জাপান। জাপানি প্রতিষ্ঠান ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস এই ওষুধ প্রস্তুত করে থাকে।
শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ফ্লুর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ওষুধ অ্যাভিগ্যান যেন করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়, সে জন্য সরকার এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে।
তিনি বলেন, বেশ কিছু করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় এই ওষুধের কার্যকারিতার লক্ষণ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই অনেক দেশ এই ওষুধ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শিনজো আবে বলেন, জাপান শিগগিরই অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে ক্লিনিক্যাল গবেষণা অব্যাহত রাখবে। শিগগিরই বড় আকারে এই ওষুধ উৎপাদন শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া বা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ভারাক্রান্ত করে ফেলার আগেই দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে জাপানকে।
এর আগে এই ওষুধের সাফল্যের কথা জানিয়েছিলেন চীনা চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, সাধারণত একজন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হতে যত সময় লাগে, এই ওষুধ প্রয়োগ করলে তারও আগে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
তবে জাপানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব রোগীর অবস্থা গুরুতর তাদের বেলায় এই ওষুধ তেমন কাজ করে না।
জাপানে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৭৩ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৪ জন।
এদিকে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭৫৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৭৯ জন। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২১৭ জন।
মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। তবে সোয়া লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগী নিয়ে আক্রান্তের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর শনিবার সবচেয়ে ভয়াবহ দিন পার করেছে স্পেন। এদিন দেশটিতে ৮৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা তাদের জন্য এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৫৩৮ জন মারা গেছেন।
ইরানের করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৬৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৩০৯ জনে পৌঁছেছে।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনাভাইরাসে আরও ২০৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে প্রাণহানির এই সংখ্যা শনিবারের চেয়ে সামান্য কম। শনিবার দেশটিতে করোনায় মারা যান অন্তত ২৬০ জন।
বিএ