মৃত্যুপুরী ইতালিতে ৯৫ বছর বয়সীর কাছে হারল করোনা
মৃত্যুপুরী ইতালিতে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪৭৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। চীনে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করা হলেও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে ইতালিতেই। তবে এ দুর্যোগের মাঝেও স্বাস্থ্যকর্মীদের মনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিল এক বয়স্ক নারীর সুস্থতা।
দেশটির ৯৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আলমা ক্লারা করসিনি নামের ওই নারী ইতালির মদেনা প্রদেশের ফানাও শহরের বাসিন্দা। তাকে ৫ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও এই পেনশনভোগীর শরীর ‘দারুণ সাড়া’ দিয়েছে এবং এখন পুরোপুরি সুস্থ।
করসিনিই মদেনা প্রদেশের প্রথম কোনো বয়স্ক ব্যক্তি যিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও সুস্থ হলেন।
ইতালির পত্রিকা গ্যাজেটা ডি মদেনাকে করসিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমি এখন সুস্থ আছি। তারা অনেক ভালো লোক ছিলেন যারা আমাকে দেখাশোনা করেছেন এবং তারা এখন আমাকে বাড়িতে পাঠাবে।’
হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে রোগীদের ‘অ্যান্টি-ভাইরাল থেরাপি’ চিকিৎসা দেয়া লাগে। কিন্তু এই গ্র্যান্ডমাদার অ্যান্টি-ভাইরাল থেরাপি চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়েছেন।
গ্যাজেটা ডি মদেনা পত্রিকা বলছে, করসিনি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে এখন এক গর্বের নাম। মৃত্যুপরী ইতালিতে অন্যান্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
করসিনির আগে ইতালির লিগুরিয়া অঞ্চলের ৭৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে করোনা থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন চিকৎসকরা। তিনি ১২ দিন হাসপাতালে ছিলেন এবং তার চিকিৎসায় ইবোলা ড্রাগ ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি ছাড়াও ইবোলা ড্রাগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৪ ব্যক্তি করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন।
করোনাভাইরাস মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করায় ইতালির ৬০ মিলিয়ন বাসিন্দা বর্তমানে বাধ্যতামূলক অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছেন। সর্বশেষ রোববার দেশটিতে নতুন করে ৬৫১ জন এই ভাইরাসে মারা গেছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল
এসআর/পিআর