এবার অস্ট্রেলিয়ায় নামাজে নির্দেশনা
করোনায় স্থবির গোটা বিশ্ব। আতঙ্কে আচ্ছন্ন সবাই। মধ্যপ্রাচ্চ্যসহ অন্যান্য দেশেও মসজিদে নামাজের জামাত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লোক সমাগমের ওপর বড় ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সরকারি নিয়মে সিডনিতে যে কোনো জনসমাগমে ইনডোরে ১০০ ও আউটডোরে ৫০০ জন পর্যন্ত থাকতে পারবে।
জানা গেছে, অস্ট্রেলীয় সরকার সাধারণ মুসল্লিদের জন্য কিছু কিছু মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এরমধ্যে সিডনির কেন্দ্রীয় ল্যাকান্বার বড় মসজিদেও বন্ধ রয়েছে। তবে ল্যাকান্বার দারুল উলুম ও রকডেলের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কেউ কেউ কমিউনিটি হলে ও গ্যারেজ জমায়েত হয়ে নামাজ আদায় করছে।
সিডনির দারুল উলুম মসজিদের প্রবেশমুখে টিকিটের মাধ্যমে প্রতি ১০০ জন করে মুসল্লি নিয়ে শুক্রবার জুমা আদায় করা হয় মসজিদে। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ৬-৭টি জামাত করা হচ্ছে। শুধু আজান, খুৎবা ও দুই রাকাত ফরজ আদায় হয়। নামাজের সুন্নত ও নফল নামাজ বাসায় পড়ার অনুরোধ জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদেশ ফেরত ব্যক্তি, জ্বর, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিসহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের ঘরে জোহরের নামাজ পড়তে বলা হয়েছে।
বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
তবে গত কয়েকদিনে এই চিত্র বদলে দিয়েছে ইতালি। গত কয়েক মাসে চীন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে ঠিক একই রকম পরিস্থিতি এখন ইতালিতে। বরং চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় চীনসহ অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৬। দেশটিতে গত একদিনেই মারা গেছে আরও ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটা।
এমআরএম/এমকেএইচ