সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে আরব আমিরাত
সব ধরনের এন্ট্রি ভিসা বাতিল করেছে আরব আমিরাত। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আগামী দু'সপ্তাহ সব ধরনের এন্ট্রি ভিসা বন্ধ থাকবে।
বৈধ ভিসাধারী ব্যক্তি যারা বর্তমানে আমিরাতের বাইরে রয়েছেন তারা কেউই এখন আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিশ্বের ১৭৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দেশেই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমিরাতে এখন পর্যন্ত ১১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, এখন পর্যন্ত ২৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
করোনার প্রকোপ যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এর অংশ হিসেবেই সব ধরনের এন্ট্রি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য দেশে অবস্থান করা নিজেদের নাগরিকদেরে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
যারা বর্তমানে আমিরাতের বাইরে রয়েছেন তারা যে যে দেশে অবস্থান করছেন সেখানে আমিরাতের কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শুধু আমিরাতই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অন্য দেশ থেকে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এনেছে। বিমানের ফ্লাইট বাতিল করেছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯২৮ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৫ জন।
এরপরেই রয়েছে ইতালি। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এরপরেই রয়েছে ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ১ হাজার ১৩৫ জন। স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৬৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৩৮ জনের।
জার্মানিতে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৩২৭ এবং মারা গেছে ২৮ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৭১ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের।
ফ্রান্সে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৩৪ এবং মারা গেছে ২৬৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৬৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।
অপরদিকে সুইজারল্যান্ডে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১১৫ এবং মারা গেছে ৩৩ জন। যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৬২৬ জন এবং মারা গেছে ১০৪ জন।
টিটিএন/এমকেএইচ