হংকংয়ে প্রবেশ করলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
হংকংয়ে প্রবেশ করলেই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নতুন এই পদক্ষেপ শুরু হবে। দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে দেশটির সব নাগরিককে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৭। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানো সব বিদেশি নাগরিককে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। স্থানীয় সময় রোববার মধ্যরাত থেকে দেশটিতে পা রাখা সব আন্তর্জাতিক যাত্রীকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, দেশে যেন করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে কারণেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিন কোনো বিদেশি প্রমোদতরীকেও অস্ট্রেলিয়ার বন্দরে নোঙ্গর করতে দেয়া হবে না। এ সময় পর্যন্ত সব ধরনের বিদেশি প্রমোদতরীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অপরদিকে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, দেশটিতে প্রবেশ করলে প্রত্যেককেই ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে।
শনিবার এক ঘোষণায় তিনি বলেন, রোববার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশকারী সবাইকে ১৪ দিনের জন্য ‘সেলফ আইসোলেশনে’ থাকতে হবে। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের কোনো প্রমোদতরীকে আগামী ৩০ জুনের আগ পর্যন্ত দেশে না ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫০। অপরদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ হাজার ৮৮১ জন।
বিশ্বের ১৬২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে নতুন করে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৮১। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩ হাজার ২২৬ জন।
টিটিএন/জেআইএম