সিঙ্গাপুরে ১০ মসজিদ ঘুরেছেন করোনা আক্রান্ত পাঁচজন, সতর্কতা জারি
মালয়েশিয়ায় একটি ইসলামিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে দেশে ফেরা সিঙ্গাপুরের পাঁচ নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে, সংক্রমণকালেই তারা সিঙ্গাপুরের অন্তত ১০টি মসজিদে গিয়েছেন। এসব মসজিদে নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের আগামী দু’সপ্তাহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের ইসলামিক ধর্মীয় কাউন্সিল (মুইস) জানিয়েছে, গত ৩ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে ওই পাঁচ রোগী ১০টি মসজিদে গিয়েছেন।
মসজিদগুলো হলো- মসজিদ আল-ইমান, মসজিদ আল-মুত্তাকিন, মসজিদ হাজ্জাহ ফাতিমা, মসজিদ হাজাহ রাহিমাবি কেবুন লিমাউ, মসজিদ কাসিম, মসজিদ পিতেমপাতান মেলায়ু সেম্বাওয়াং, মসজিদ সুলতান, মসজিদ আল-মাওয়াদ্দাহ, মসজিদ জামে (চুলিয়া) এবং মসজিদ আল-ইস্তিকামাহ।
মুইস জানিয়েছে, মসজিদগুলোতে যাওয়ার দিন থেকে অন্তত ১৪ দিন পর্যন্ত মুসল্লিদের বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। তাদের সর্দি, কাশি, জ্বর, গলায় খুসখুস, শ্বাসকষ্টসহ যেকোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের একটি মসজিদে বিশাল ইসলামিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের অন্তত ১০ হাজার মুসলিম। এদের মধ্যে অন্তত ৯০ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক ছিলেন। ওই সম্মেলনে অংশ নেয়া বা অংশগ্রহণকারীদের সংস্পর্শে আসা ব্রুনেইয়ের ৩৭ জন এবং মালয়েশিয়ার ৭৭ জন নাগরিকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মুইস বলছে, মালয়েশিয়ার ওই মসজিদটিতে যাওয়া ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সিঙ্গাপুরে করোনার বিস্তার প্রতিরোধে তারা দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যথাসম্ভব সহযোগিতা করছে বলেও জানায় ইসলামিক সংগঠনটি।
এর আগে, গত শুক্রবার পাঁচদিনের জন্য দেশটির ৭০টি মসজিদই বন্ধ ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুরের ইসলামিক ধর্মীয় কাউন্সিল। এ সময়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সব মসজিদ ভালোভাবে ধুয়ে-মুছে জীবাণুমুক্ত করা হবে।
সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত অন্তত ২১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১০৫ জনই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। দেশটিতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি রয়েছেন।
সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস
কেএএ/জেআইএম