দ. কোরিয়ায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১০৭, মোট ৮০৮৬
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আরও ১০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৬ এবং ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২০৪ জন।
গত ২০ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। প্রথমদিকে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখন সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বর্তমানে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ইতালিতে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৬০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জনের। এরপরেই রয়েছে ইরান। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৪ এবং ৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় লোকজনকে এ সময়ে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন ছুটির সময় এবং আমরা বুঝতে পারছি যে, আপনারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু দয়া করে এখন বাড়িতেই অবস্থান করুন এবং যতটা সম্ভব লোকজনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। চীনের পর করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে ইউরোপের দেশগুলোকে। আর ইউরোপকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসকে মহামারির ‘কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে সংস্থাটি করোনাভাইরাসকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা দেয়। ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসিস এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইউরোপ এখন মহামারির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাওয়া একটি করুণ মাইলফলক।’
বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭১ হাজার ১৬৯ জন। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই ৮০ হাজার ৮৩২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৭৭ জন।
টিটিএন/এমকেএইচ