‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক’ ফেস মাস্কগুলো আসলে উহানে তৈরি
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সারা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়েছে ফেস মাস্কের। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পরিষ্কার সামগ্রী আর মাস্ক কিনছে। অনলাইনেও মাস্ক কেনার ধুম পড়েছে।
মার্কিন ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকেও মাস্ক কিনছে লোকজন। তবে এক্ষেত্রে বিপত্তি বেধেছে। অ্যামাজনে ‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক’ লেবেল লাগানো মাস্ক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। বেশ কিছু ভোক্তা এসব মাস্ক বাড়িতে নেয়ার পর দেখতে পেয়েছেন এগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের লেবেল লাগানো থাকলেও এগুলো আসলে উহানের তৈরি। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কারণ চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সে কারণে ওই শহরকেই করোনার উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয়। আর সেখানে তৈরি মাস্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ থাকাটাই স্বাভাবিক।
ওই মাস্কগুলোর প্যাকেটে যে লেবেল লাগানো রয়েছে তা সার্চ করলে তা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এমন কোনো লিস্ট দেখায় না। ফলে এটাই ইঙ্গিত করে যে, এই মাস্কগুলো উহান ওরিয়েন্ট অনেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কোং-য়ের তৈরি।
এসব মাস্ক নেয়ার পর এক ভোক্তা লিখেছেন, এই মাস্ক অর্ডার করে সবচেয়ে ভালো আর দ্রুত গতিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের ব্যাপারে আমি আর কিছুই ভাবতে পারি না।
অন্য একজন লিখেছেন, উহানে তৈরি, তার মানে ভাইরাস নিয়েই এসেছে। তাদের জন্য এগুলোই দরকার যারা খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের জীবন শেষ করতে চান। তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, আপনার শত্রুদের এগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিন।
অনেক ভোক্তা এটাও বলছেন যে, তারা যদি আগে থেকে জানতে পারতেন যে এই মাস্কগুলো চীনে তৈরি তাহলে তারা কখনওই এগুলো কিনতেন না।
তারা এও জানিয়েছেন যে, এই মাস্কগুলোর প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ দেয়া নেই। তার মানে এটা জানা সম্ভব নয় যে, এই মাস্কগুলো কবে নাগাদ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো করোনার প্রকোপের আগে বা উহানে করোনার প্রকোপ শুরুর পরেও তৈরি করা হতে পারে।
টিটিএন/এমকেএইচ