করোনার থাবায় অফিস বন্ধ হলো সিবিএস নিউজের
সিবিএস নিউজের দুই কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিউ ইয়র্ক সদর দফতর পরিষ্কার করে ভাইরাসমুক্ত করার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, আগামী দুইদিন প্রতিষ্ঠানটি তাদের কর্মীদের অন্য কোথাও থেকে কাজ করতে বলে দিয়েছে এবং ওই দফতরে পরিচ্ছন্নতা কাজ চালানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সিবিএস নিউজ প্রেসিডেন্ট সুজান জিরিনস্কি তার কর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলছেন, যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দুই কর্মীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদের দুই সপ্তাহ সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ মুহূর্তে আমাদের ধারণা, সোমবার নাগাদ আবার আমরা এ অফিসে ফিরতে পারব।
ম্যানহাটনে সিবিএস নিউজের দুটি অফিস রয়েছে, এর একটিতে কাজ করেন 'সিক্সটি মিনিটস' অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা। সিবিএসের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটির যে দুজন কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা দুই পৃথক ভবনে অফিস করেন। কিভাবে তারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি সিবিএস।
এরইমধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ অবস্থায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও এনবিসি নিউজ চিন্তা শুরু করেছে, তারা সংবাদকর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেবে।
যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে যাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এপি তাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। ১০০টি দেশে ২৫০ স্থান থেকে এপি পরিচালনা করা হয়। এপি বলছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কারো সংস্পর্শে যারা এসেছেন বা সরকারের তরফ থেকে যেসব এলাকায় অফিসের বদলে বাসা থেকে কাজ করতে উৎসাহী করা হচ্ছে সেসব জায়গার কর্মীরা আগে এ অনুমতি পাবেন।
এপি নিউজ সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্যারি প্রুত বলছেন, এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, শিকাগো, নিউ অরলিন্স, বেইজিং, টোকিও, সিউল, নয়া দিল্লি, সিঙ্গাপুর, জাকার্তা, ম্যানিলা, ইরান ও ইতালি। এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলেও জানিয়েছেন গ্যারি।
কর্মীদের অপ্রয়োজনে ভ্রমণ না করতেও নির্দেশ দিয়েছে এপি। একইসঙ্গে এও বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে কোনো করফারেন্সে যোগ দেয়া যাবে না। কড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে নৈশভোজের অনুষ্ঠানেও। গ্যারি বলছেন, সামনের কয়েকটা দিন আমাদের অবশ্যই সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
করোনা ভাইরাসের নিয়ে সতর্কতার অংশ হিসেবে আরও যেসব গণমাধ্যম তাদের কর্মীদের অফিসে না এসে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন।
এনএফ/এমকেএইচ