করোনার প্রাদুর্ভাব, প্রথমবার উহানে পা রাখলেন শি জিনপিং
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সফর করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত ৩১ ডিসেম্বর উহানেই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। এরপরেই তা চীনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উহান শহর।
ওই শহরেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অন্যান্য শহরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবার উহানে পা রাখলেন শি জিনপিং। মঙ্গলবার সকালে তিনি উহানে পৌঁছান। সোমবার চীনে নতুন করে ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে আশার কথা এই যে, গত কয়েকদিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
এই সফরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করবেন শি জিনপিং। একই সঙ্গে তিনি মেডিকেল কর্মী, সেনা কমান্ডার, কমিউনিটির সদস্য, জনসুরক্ষা কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী, করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন করে যে ১৯ জন কোভিড-১৯য়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১৭ জনই উহানের বাসিন্দা। বাকি দু'জনের একজন বেইজিংয়ের এবং অপরজন গুয়াংডং প্রদেশের।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চীনে। সেখানে ৮০ হাজার ৭৫৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ১৩৬ জন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৪২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৪ হাজার ২৭ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬৪ হাজার ৮১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের পর ইতালিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ১৭২ এবং মৃতের সংখ্যা ৪৬৩। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে ৭ হাজার ৫১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫৪ জন।
অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৩৭ জন।
টিটিএন/এমএস