সৌদি-রাশিয়া ‘মূল্য যুদ্ধে’ তেলের দাম ২৯ বছরে সর্বনিম্ন
তেলের দাম নিয়ে একসময়ের মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধে নেমেছে সৌদি আরব। এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম এসে দাঁড়িয়েছে গত ২৯ বছরের মধ্যে প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ০৬ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল। এদিন ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৩ দশমিক ৩৩ ডলারে।
বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রিফিনিটিভের হিসাবে, তেলের দাম এত নিম্ন পর্যায়ে এসেছিল সর্বশেষ ১৯৯১ সালে।
গত দু’দিনে মার্স ইউএসের দাম ১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৯৮ ডলার। এছাড়া, গত চারদিনে ওপেক বাস্কেট ও ইউরালসের দামও কমতির দিকে।
তেলের দামে এই সংকট শুরু হয়েছে মূলত গত শুক্রবার থেকে। এদিন সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেকের ১৪ সদস্য ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন অন্যান্য তেল উৎপাদক দেশগুলো করোনা সংকটে তেলের উৎপাদন কমানো হবে কি না এ নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। ওপেক-পক্ষ তেলের দাম ধরে রাখতে প্রতিদিন দেড় মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন কমানোর পক্ষে মত দেয়, তবে এতে সম্মত হতে পারেনি রুশ-পক্ষ।
ভিয়েনার ওই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরপরই ধস নামে তেলের বাজারে। শুক্রবারই এর দাম পড়ে যায় গড়ে ১০ শতাংশ। দরপতনের সেই ধারায় এ সপ্তাহে আরও বড় ধাক্কা দিয়েছে সৌদি আরব। রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে তারা এপ্রিল মাসের তেলের দর ছয় থেকে আট ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে।
ক্লিপারডাটার পণ্য গবেষণা পরিচালক ম্যাট স্মিথ বলেন, সৌদি আরব বাঁধনগুলো খুলে দিচ্ছে এবং বাজার ধরতে লড়তে চাইছে, এটি তারই লক্ষণ। তারা মূল্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন, অয়েলপ্রাইস ডটকম
কেএএ/পিআর