লন্ডনের আরও একটি সম্মাননা হারালেন সু চি
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চিকে দেয়া আরও একটি সম্মাননা কেড়ে নিলো লন্ডন কর্তৃপক্ষ। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সু চির এ সম্মাননা বাতিল করে লন্ডন সিটি করপোরেশন (সিএলসি)।
এই বিষয়ে সিএলসি কমিটির প্রধান ডেভিড উট্টন বলে, আজ যে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সিটি করপোরেশনের নিন্দার প্রতিচ্ছবি।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে কাজ করায় ২০১৭ সালের মে মাসে অং সান সু চিকে সম্মাননা দিয়েছিল লন্ডন সিটি করপোরেশন। স্বশরীরে উপস্থিত থেকে ওই সম্মাননা এবং পুরস্কার গ্রহণ করেন মিয়ানমারের নেত্রী। কিন্তু, গত ডিসেম্বরে হেগ শহরে আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানিতে বিতর্কিত অবস্থানের পর তিনি আর এ সম্মাননার যোগ্য নন বলে একমত হয়েছে সিএলসি।
এর আগে কানাডার পার্লামেন্টের দেয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরের সম্মাননা, গ্লাসগো নগর কাউন্সিলের ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব, লন্ডনভিত্তিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়া সম্মাননা হারিয়েছেন সু চি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। ব্যাপক হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নিপীড়নের মুখে সেসময় বাংলাদেশ পালিয়ে আসে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার দাবি, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে সু চি বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যখান করেছেন। নিজ দেশের সেনাবাহিনীর গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাইতে আন্তর্জাতিক আদালতেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। এর জেরেই তার সম্মাননা কেড়ে নিয়েছে সিএলসি।
সূত্র: আলজাজিরা
কেএএ/এমএস