ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ফোনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ০৪ মার্চ ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শুধু মানব শরীরে নয়, সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে ফোনের স্ক্রিনের মতো কঠিন পদার্থের সঙ্গেও। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ফোনের স্ক্রিনের মতো কঠিন পদার্থ করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি সম্ভাব্য মাধ্যম। কোনোভাবে এই ভাইরাসের জীবাণু এসব পদার্থের সংস্পর্শে এলে টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত থেকে যেতে পারে সেখানে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কাশি, সর্দির মাধ্যমে হ্যান্ডেল, হ্যান্ডসেটের মতো পদার্থে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার জীবাণু। এবং এক সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে থেকে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তারের জন্য ফোন পেট্রি ডিশ (ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত একধরনের ছোট গোল স্বচ্ছ পাত্র) হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য দিনে দুইবার অ্যালকোহল মিশ্রিত টিস্যু দিয়ে ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাউথহ্যাম্পটনের অধ্যাপক উইলিয়াম কেভিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোকে তিনি বলেছেন, ‘আপনি হাত ধুয়ে নিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন স্মার্টফোন নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করলেন এবং মুখে হাত নিলেন, তখনই আপনার শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।’

দিনে দুইবার ফোন জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অধ্যাপক পেটার হল। তার মতে, অন্তত দুপুরে খাওয়ার সময় ও চা পান করার সময় ফোন পরিষ্কার করা উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ভাইরাস ধ্বংসের জন্য অ্যালকোহল মিশ্রিত টিস্যু (অ্যালকোহল ওয়াইপস) খুবই কার্যকর।

তবে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল বলছে, ফোনের স্ক্রিন জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাইক্রোফাইবার ক্লথ (একধরনের তোয়ালে) ও সোপি ওয়াটার (সাবান পানি) ব্যবহার করা উচিত।

গত বছরের ডিসম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৩৫ জনে। ৭৯টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ২৩৮ জন। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার নতুন করে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এসআর/জেআইএম