শান্তিতে নোবেল চার সংগঠনের
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে তিউনিশিয়ার নাগরিক সমাজের চারটি সংগঠন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নরওয়ের অসলোতে দ্য নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি সংগঠনগুলোর নাম ঘোষণা করেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
২০১১ সালে জেসমিন বিপ্লব নামে সরকাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে তিউনিশিয়া। এ সময় দেশটিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে গঠিত চারটি সংগঠন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। দেশটিতে গণতন্ত্র চরম সংকটের মুখে পড়লে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গৃহযুদ্ধের দিকে চালিত হতে থাকা তিউনিশিয়ায় সাধারণ মানুষ ও ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংগঠনগুলোর নেতারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেন। তাদের এ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এ বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ এ সম্মাননা দেওয়া হলো।
সংগঠন চারটি হলো :
দ্য তিউনিশিয়ান জেনারেল লেবার ইউনিয়ন (ইউজিটিটি), দ্য তিউনিশিয়ান কনফেডারেশন অব ইন্ডাষ্ট্রি (ইউটিআইসিএ), দ্য তিউনিশিয়ান হিউম্যান রাইটস লিগ (এলটিডিএস) ও দ্য তিউনিশিয়ান অর্ডার অব লয়্যারস।
এ বছর জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা মের্কেল, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, পোপ ফ্রান্সিস, কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মাকোয়েজ ও রাশিয়ার সংবাদপত্র নভোয়া গেজেটার নামও নোবেল পাওয়ার দৌড়ে ছিলো।
বিশ্বের সর্বোচ্চ এ সম্মাননার জন্য এ বছর ২৭৩টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের ২০৫ জন ব্যক্তি ও ৬৮ টি সংগঠন এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করে। গত বছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফ জাই (১৭) এবং ভারতের শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী (৬০)।
এর আগে, ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯০১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০৩ জন ব্যক্তি ও ২৫ টি প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এসআইএস/এমএস