ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দিল্লিতে চলাচলে নাগরিকদের সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:২৩ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সম্প্রতি ভারতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ট্রাম্পের এই সফরের মধ্যেই সহিংসতায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় দিল্লি।

গত রোববার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা শুরু হয়।

সে সময় দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’। কিন্তু সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর শেষ করে দেশে ফেরার পরের দিনই ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দিল্লিতে চলাফেরায় সাবধান থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। সোমবার দু’দিনের সফরে ভারতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। তার আগে সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রাম্প।

সে সময় ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে। দিল্লির সংঘর্ষের বিষয়ে তার মন্তব্য ছিল, বিষয়টি শুনেছি। তবে এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

কিন্তু মুখে এ কথা বললেও হোয়াইট হাউস যে দিল্লির সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা বোঝা গেল তার দেশে ফেরার পরেই। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির সহিংসতার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সাবধান করা হয়েছে ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসাত্মক প্রতিবাদ চলছে। ভারতে থাকা মার্কিন নাগরিকদের সে কারণে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেসব এলাকায় সহিংসতা চলছে, সেগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। বেশ কয়েকটি স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে, দিল্লির সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত হয়েছে আরও ২শ মানুষ।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সহিংসতার অভিযোগে ১৮টি এফআইআর দাখিল করা হয়েছে এবং ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

টিটিএন/পিআর