করোনায় চীনের বাইরে সর্বাধিক আক্রান্ত দ. কোরিয়ায়, মৃত্যু ইরানে
করোনাভাইরাসের উৎস চীনের পর এতে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ১৪৬ জন নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে ১৬৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে।
বুধবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানায়, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৪ জনই ডেগু শহরের। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাস আক্রান্তদের বেশিরভাগই এই শহরের শিনচিয়নজি চার্চ অব জিসাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। চার্চটির অন্তত ২ লাখ ১৫ হাজার সদস্য রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের সবারই শারীরিক পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটিতে ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যা এখন ইরানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচিও রয়েছেন।
তবে ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সির (ইলনা) বরাতে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা দাবি করেছে, দেশটির কোম শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর যে সংখ্যা জানিয়েছে এটি তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আহমাদ আমিরাবাদি ফারাহানি নামে কোম শহরের এক কর্মকর্তা ইলনাকে বলেছেন, শহরে আড়াই শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
ইরানে ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পবিত্র কোম শহর সম্পর্কিত। sএখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে তুরস্ক, পাকিস্তান এবং আর্মেনিয়া ইতোমধ্যেই ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭১৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৬৪ জন। দেশটির মূল ভূখণ্ডের বাইরে মারা গেছেন আরও ৪৮ জন। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন।
এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ হাজার ৪৭৬ জন।
সূত্র: সিএনবিসি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
কেএএ/এমকেএইচ