ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা আর আতঙ্ক বাড়ছেই। আজ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দায়েগু ও চেংদো নামের দুটি শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামরিক সদস্যদের ঘাঁটি থেকে অন্যত্র চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে শুক্রবার নতুন করে আরও ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। চীনের বাইরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সবচেয়ে বড় ছোবল মেরেছে দেশটিতে।

দেশটিতে নতুন করে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগুর শিনচেওনজি চার্চ অব জেসাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কোরিয়ান রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এক বিবৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। ওই চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৮০ জন এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যার শুরু হয়েছিল ৬১ বছরের এক নারীর মাধ্যমে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দেয়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, স্পেশাল কেয়ার জোন ঘোষণা করা দায়েগু শহর ও এর আশেপাশের অন্তত ১১০ জন বাসিন্দা এখন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। দায়েগু শহরে ২৫ লাখ মানুষের বাস। শহরটির মেয়র অনাকাঙ্খিত সংকট ঘোষণা করার পর শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং একাধিক সড়ক এখন বন্ধ।

এছাড়া উল্লিখিত চার্চটির চার শতাধিক সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেছে। যদিও তাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। দায়েগু শহরের মেয়র কুন ইয়ং এক প্রেসি ব্রিফিংয়ে শুক্রবার এই তথা জানান। শহরে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বেশ কিছু সেনা করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সকল সেনাদের ব্যারাক থেকে অন্যত্র যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে কাজ করে এমন কোনো সদস্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যেতে পারবেন না এবং কোনো অতিথিও তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনের হুবেই প্রদেশে আরও ১১৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে প্রদেশটিকে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪৪ জনে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মারা গেছেন অন্তত ২২৪৫ জন।

এছাড়া চীনের বাইরে জাপানে তিনজন, হংকংয়ে দুইজন, ইরানে দুইজন, তাইওয়ানে একজন, ফিলিপাইনে একজন, ফ্রান্সে একজন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

এসএ/পিআর