ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনার চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগ করছে জাপান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রাণঘাতী এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে জাপান। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির জন্য হুমকি তৈরি করছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।

মুখপাত্র ইয়োশিহিদি সুগা বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। তবে নতুন এই ওষুধ প্রয়োগে কতদিন সময় লাগতে পারে সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারেননি তিনি।

সোমবার পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২০ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এই আক্রান্তদের মধ্যে দেশটির ইয়োকোহামা বন্দরে ঘাঁটি করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৪৫৪ জনও রয়েছেন। তবে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে জাপানে এখন পর্যন্ত একজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ফলপ্রসূ হতে পারে বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা বলেছেন, ফ্লু এবং এইচআইভির ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে গুরুতর কিছু রোগীর চিকিৎসায় ইতোমধ্যে তারা ভালো ফল পেয়েছেন।

গত মাসে বেইজিংয়ের একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিস্তার ঠেকাতে কিছু রোগীর শরীরে অ্যান্টি-এইচআইভি ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। তবে চীনে এক হাজার ৮৬৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনও ওষুধ তৈরি হয়নি।

মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে সক্ষম উহানে উৎপত্তি হওয়া নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এখন পর্যন্ত চীনের বাইরে হংকং, তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে মোট পাঁচজনের প্রাণ কেড়েছে।

সোমবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র চীনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৪৩৬ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১২ হাজার ৬৬৭ জন। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের সামুদ্রিক একটি খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের ২৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

এসআইএস/জেআইএম