করোনাভাইরাস : ভারতের বাজারে বাড়ছে প্যারাসিটামলের দাম
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। মৃত্যুর মিছিল থেকে বাদ যাচ্ছেন না চিকিৎসকরাও। এ অবস্থাও সংকটে পড়েছে চীন। দাম বাড়ছে মুখ সুরক্ষার মাস্কসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের।
বাদ যায়নি সাধারণ প্যারাসিটামলের মতো ওষুধও। করোনাভাইরাসের সৌজন্যে ভারতের বাজারে হু হু করে দাম বেড়েছে ওষুধটির। তাও আবার এক লাফে ৪০ শতাংশ!
অবরুদ্ধ চীনে এখন ওষুধ উৎপাদন প্রায় বন্ধ। ফলে সেখান থেকে ভারতে প্যারাসিটামলের আমদানিও আপাতত বন্ধ। এমতাবস্থায় চাহিদার সঙ্গে জোগানের ঘাটতিতে প্যারাসিটামলের দাম এক লাফে ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
শুধু প্যারাসিটামল নয়, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের দাম আবার ৭০ শতাংশ বেড়েছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রেসক্রাইব করেন চিকিৎসকরা।
জোগানে ঘাটতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান পঙ্কজ আর পটেল। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এদিকে মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, কিছু ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এপ্রিলের পর অনেক ওষুধই বাজারে পাওয়া যাবে না।
করোনাভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮৬৮ জনের। মঙ্গলবার মারা গেছেন ৯৩ জন। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০৭ জন। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৩৫৫ জন।
চীনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার ৮৬৩ জন। চীনের বাইরে হংকং, তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সের একজন করে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হুবেইতে ৪১ হাজার ৯৯৫ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে এক হাজার ১৮৩ জন গুরুতর অসুস্থ। ৮৬৬২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
বিএ/জেআইএম