জামিয়ার লাইব্রেরিতে আসলে কী হয়েছিল?
গেল বছরের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশি বর্বরতার অভিযোগ উঠেছিল। দাঙ্গা মোকাবিলার সময় ব্যবহৃত ‘রায়ট গিয়ার’ পরে ও মুখে রুমাল বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে পুলিশ। এরপর বেধড়ক লাঠিচার্জ চলে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও শনিবার ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় লাইব্রেরির ভেতরে অনেকে গোল হয়ে বসে আছেন। বই পড়ছেন কেউ কেউ। ঠিক এমন মুহূর্তে লাইব্রেরিতে ঢুকলো পুলিশ। কেউ টেবিলের নীচে আবার কেউ আশ্রয় নিলেন দেয়ালে সেঁটে। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। কখনো মাথায় তো কখনও পিঠে এসে পড়লো লাঠির আঘাত। হাত তুলে মাথা বাঁচাতে গেলে সেই হাতেই এসে পড়ল এলোপাথাড়ি লাঠির ঘা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি প্রকাশ করে।
ওই ভিডিওটে ভাইরাল হওয়ার পর ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আরেকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে আগের ঘটনার অনেকটা বিপরীত এক চিত্রের ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, জামিয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার আগে প্ররোচনা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে। শিক্ষার্থীদের নয়, দুষ্কৃতকারী ধরতেই ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকেছিল পুলিশ।
#Breaking #THREAD
— Saahil Murli Menghani (@saahilmenghani) February 16, 2020
ANOTHER JAMIA LIBRARY CCTV.
Jamia students(& coordination committee) tell me that in this cctv, students can be seen in a panic stricken state & running for cover as cops were lobbing tear gas shells & wielding lathis.
FULL VIDEO-https://t.co/q928q6wOJs pic.twitter.com/K608JuTGKw
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ভিডিওটিতে দেখা যায়, পুলিশ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার আগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পাথর হাতে কয়েকজন ঘোরাফেরা করছে। ওই ‘দুষ্কৃতী’রা এরপর লাইব্রেরিতে গিয়ে আশ্রয় নয়। সেখানে তাদের লুকিয়ে থাকতেও দেখা যায়। দিল্লি পুলিশের দাবি, যারা পাথর হাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকেছে, তারা আসলে দাঙ্গাবাজ। এরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এরা লাইব্রেরিতে আশ্রয় নেই। পুলিশ এদের খুঁজতেই লাইব্রেরিতে ঢোকে এবং তাদের ওপরই লাঠি চালায়।
এনএফ/জেআইএম