সিঙ্গাপুরে আরও তিনজন করোনায় আক্রান্ত
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বের পাঁচ মহাদেশের ৩০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রণাঘাতী করোনাভাইরাসে সিঙ্গাপুরে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে এ নিয়ে কোভিড-১৯ নামের এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭৫ জনে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, আজ নতুন করে যে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তাদের সবাই সিঙ্গাপুরের নাগরিক। সম্প্রতি তাদের কেউই চীন সফর করেননি। এর আগে তিন দফায় দেশটিতে বসবাসরত পাঁচ বাংলাদেশে প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত হন। তাদের সবার চিকিৎসা চলছে দেশটির হাসপাতালে।
রোববার নতুন করে করোনা আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন গ্রেস অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চে গিয়েছেন। যা দেশটির সবচেয়ে বড় ক্লাস্টারে পরিণত হয়েছে। দেশটির ওই একই চার্চ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি প্রথম দুজনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।
এদের মধ্যে তিনজন দেশটির গ্রেস অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। একজন সেলেটার অ্যারোস্পেস হেইটস নির্মাণাধীন স্থাপনায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার নতুন করে ২৬ বছর বয়সী যে বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন, তিনি সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাসধারী। প্রসঙ্গত, পাঁচ বাংলাদেশির চারজন একই জায়গায় কাজ করতেন।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আজ একজনসহ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ১৯ জন চিকিৎসা শেষে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের অনেকের অবস্থা স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে। তবে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ১৬ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯ হাজারের বেশি। চীনের বাইরে অন্তত ৬০০ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। চীন ছাড়া ফিলিপাইন, হংকং এবং জাপানে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন। এশিয়ার বাইরে ফ্রান্সেও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময় অন্তত ১ হাজার ৭১৬ চিকিৎসাসেবা কর্মী মরণঘাতী এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া করোনায় সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ছয় চিকিৎসক। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসএ/এমএস