করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৬৯
চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৬৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার দেশটিতে ১৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং প্রথমবারের মতো এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে একজন নিহত হয়েছেন।
রোববার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, করোনাভাইরাসে শনিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০০৯ জন; যা আগের দিনের তুলনায় কম। শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হিসেবে ২ হাজার ৬৪১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল।
ফলে চীনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬৪ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত জাপানে; দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৭ জন।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে আক্রান্ত হিসেবে পাওয়া যায়নি। তবে গত ৯ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মোট পাঁচ বাংলাদেশি প্রবাসী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে একজন করে মোট তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শনিবার এশিয়ার বাইরে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে চীনা এক নারী পর্যটক করোনায় মারা যাওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাণঘাতী এই প্রাদুর্ভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়ার সময় অন্তত ১ হাজার ৭১৬ মেডিকেল কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া করোনায় সংক্রমিত হয়ে অন্তত ছয়জন চিকিৎসকও প্রাণ হারিয়েছেন। সিঙ্গাপুর, জাপান, থাইল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের ২৮টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
এদিকে চীন এবং করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্যান্য দেশ থেকে দিল্লিতে আসা কয়েক হাজার মানুষের শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৭ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। গত মাসের মাঝের দিক দিল্লি বিমানবন্দরে কয়েক হাজার মানুষের শরীর পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ওই ১৭ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়। পরে তাদের দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ।
এমএসএইচ