চীন তো চীনই
করোনাভাইরাস চীন ছাড়িয়ে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চীনেই মারা গেছেন ১ হাজার ৩৮০ জন। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ছোঁয়াচে এ রোগ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তবে চীনের একটি কোম্পানি তাদের কর্মীদের প্রাণঘাতী এ রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে অভিনব পদ্ধতির ব্যবস্থা করেছে। তারা কোম্পানির প্রবেশ মুখে একটি টানেল বানিয়েছে। এ টানেল দিয়ে প্রবেশের সময় কর্মীদের শরীরে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের চংকিং শহরের একটি কোম্পানি অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মীরা ওই টানেল দিয়ে প্রবেশের সময় সেন্সরের মাধ্যমে টানেল থেকে অটোমেটিক জীবাণুনাশক স্প্রে হয়ে যাবে। কর্মীরা কিছুক্ষণ টানেলে থেকে ঠিকমতো এই জীবাণুনাশক দিয়ে নিজের শরীর ভালোভাবে ভিজিয়ে নেবেন। তারপর কারখানায় প্রবেশ করবেন।
কারখানাটি দাবি করেছে, মাত্র ২০ সেকেন্ড সময়ে শরীরে জীবাণুনাশক ধ্বংস করতে সক্ষম তাদের এই উদ্ভাবন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে নববর্ষের ছুটি বাড়িয়েছে চীন সরকার। এমতাবস্থায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো খুলতে শুরু করল। কারখানার খোলার শুরুতেই চীনা এই কোম্পানিটি তাদের এ অভিনব পদ্ধতি সম্পর্কে জানাল।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নতুন করে ১২২ জনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ১৩৮১। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৪ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের এই ভাইরাসকে গোটা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি অভিহিত করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত তিনজন মানুষ মারা গেছে। এদিকের জাপানে নোঙ্গর করে রাখা একটি প্রমোদতরীতে নতুন করে আরও ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই প্রমোদতরীতে করোনাআক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের সহকারী মন্ত্রী জেং ইশিন বলেন, ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ১ হাজার ১০২ জন চিকিৎসাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য এলাকায় আরও ৪০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসা কর্মীদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছেই।
এসআর/পিআর