করোনা আতঙ্কে সিঙ্গাপুরে কনডম কেনার হিড়িক
চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ১৩৮ জন। এ রোগ চীন টপকিয়ে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাইরে হংকং এবং ফিলিপাইনে দুজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাপানে প্রথম এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এই অবস্থায় সব দেশেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাদ যায়নি সিঙ্গাপুরও। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জন।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে নিজেদের মতো করে বিভিন্ন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে কনডম।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টুডে অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক বা অন্যান্য সরঞ্জামে টান পড়তে শুরু করেছে সিঙ্গাপুরে। যতটা চাহিদা তার থেকে অনেক কম সরবরাহ হচ্ছে এসব সরঞ্জাম। ফলে নিজেদের মতো করেই ভাইরাসের ছোঁয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই কারণেই সিঙ্গাপুরে কনডমের বিক্রি বেড়ে গেছে। দোকানগুলোতে স্টক প্রায় শেষের মুখে।
Reasons for overcrowding in Singapore in the next decade or so:
(@mypeachperfect) February 7, 2020
sg stores running out of condoms due to overreacting sgreans using condoms as gloves during the virus outbreak instead of its actual purpose pic.twitter.com/YX1bsCyAlD
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে কনডম ব্যবহার করছেন সিঙ্গাপুরবাসীরা। পাবলিক প্লেসে সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কনডম। যেমন, লিফটের মতো জায়গায় কনডম ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি আঙুলে কনডম পরে লিফটের বোতাম টিপছেন।
মূলত কনডম বিক্রি শুরু হয়েছে একটি ফান থেকে। আর মজাটি করে কনডম ব্র্যান্ড ডুরেক্সের সিঙ্গাপুর শাখা। তারা মজা করে বলে, “নভেল করোনাভাইরাসের জীবাণু থেকে বাঁচতে লিফটে আমাদের প্রোডাক্টকে ‘ফিঙ্গার গ্লোভস’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।”
এই কৌতুককেই সিরিয়াসলি নিয়েছেন অনেকে। এমনকি লিফটে বাটন প্রেস করতে আঙুলে কনডম পরতে দেখা গেছে। এ ছবি ছড়িয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে।
এসআর/পিআর