ওয়েবসাইট থেকে আসামের এনআরসির তথ্য গায়েব
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)। রাজ্যের সব নাগরিকের তথ্যই পাওয়া যেত ওই ওয়েবসাইটে। কিন্তু হঠাৎই গায়েব হয়ে গেছে সব তথ্য। ওয়েবসাইটে এখন একজনেরও তথ্য দেখা যাচ্ছে না।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনআরসির তথ্য নিরাপদেই আছে। প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণেই এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।
আসামের এনআরসিতে ভারতীয় নাগরিকদের নির্বাসন ও অন্তর্ভুক্তির তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর তা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। এসব তথ্যের জন্য ক্লাউড পরিষেবা দিয়েছিল উইপ্রো নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠান।
এনআরসি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের সঙ্গে উইপ্রোর চুক্তি ছিল গত বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। পরে আর ওই চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। একারণে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সব তথ্য অফলাইন হয়ে গেছে।
এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক হিতেশ দেবশর্মা বার্তাসংস্থা পিটিআই’কে বলেন, সাবেক সহ-সমন্বয়কারী (প্রতীক হাজেলা) এই চুক্তি নবায়ন করেননি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি ২৪ ডিসেম্বর।
তিনি বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি রাজ্য সমন্বয় কমিটির বৈঠকে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয় এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই উইপ্রোকে চিঠি দেয়া হয়। একবার উইপ্রো ডেটা লাইভ করে দিলেই তা আবারও সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। আশা করি, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে মানুষজন আবারও এনআরসির তথ্য দেখতে পাবে।
যদিও দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের আসাম শাখার দাবি, তথ্য গায়েবের ঘটনাটিকে রহস্যময় এবং এটি দায়িত্বশীলদের গাফিলতির কারণেই হয়েছে।
নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে গত বছরের ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয় আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)। তালিকায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। বাদ পড়েন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। এদের প্রায় সবাই বাঙালি ও বেশিরভাগই মুসলিম। এ তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়, বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার ওই তালিকা বাতিলের কথা জানালেও তা আজও কার্যকর হয়নি।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/এমএস