করোনাভাইরাস : চীনে হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন শি জিনপিং
চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পরার পর সোমবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। তিনি বেইজিংয়ের কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এবং নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জিনপিং।
এদিকে, সোমবার রাতের দিকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগ্যানাইজেশনের ভাইরাসবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল চীনে পৌঁছেছে। ওই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রুস এইলওয়ার্ড। পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাবের সময় ২০১৪-২০১৬ সালে তিনি সংস্থাটির কার্যক্রম তদারকি করেছেন।
ওই টিমটি বেইজিংয়ে পৌঁছানোর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেয়েসুস সতর্ক করে বলেছেন, চীনে সফর করেনি এমন লোকজনের মধ্যেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।
এদিকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার একদিনেই আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬ জন। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকেও ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস। ২০০২-০৩ সালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস। সে সময় ২৫টি দেশে আট মাসে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সার্সকে ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চীনের উহান থেকে উৎপন্ন হওয়া করোনাভাইরাস ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের জাতীয় হেলথ কমিশন বলছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া এক লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ জন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
টিটিএন/জেআইএম