চাইনিজ ফুড নিয়ে কি ভয়ের কারণ আছে?
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর ওই দেশের নাগরিকদের ভিনদেশে ভ্রমণ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি দেশটির মানুষের খাবার-দাবার ঘিরেও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চীনের এক ধারার খাবার-দাবার বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে পরিচিত চাইনিজ ফুড হিসেবে। এই ফুড নিয়েও এখন ভয় ধরে গেছে মানুষের মনে। আসলে কি চাইনিজ ফুড নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ আছে?
এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ বলছে, চীনের বাজারেই সেখানকার প্রচলিত ধারার খাবার-দাবারের কদর কমেছে। তারই চিত্র দেখা যাচ্ছে উপমহাদেশের রেস্তোরাঁগুলোতেও। মানুষ কমিয়ে দিয়েছে চাইনিজ খাবার গ্রহণ।
বাংলাদেশ-ভারতে যেসব চাইনিজ ডিশ থাকে, সেখানে প্রায়ই চিকেন থাকে। এসব ডিশের পরিবেশনে থাকে সস ও চাউমিনের মতো আইটেম। অনেকের ধারণা, ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষায় এ ধরনের ডিশও এড়িয়ে চলতে হবে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন প্রোগ্রাম’র ওয়েবসাইট বলছে, করোনাভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে সন্দেহভাজন ঝুঁকির তালিকায় এ ধরনের চাইনিজ ফুড নেই।
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিছুটা অভয় দিলেও তারা সতর্ক থাকতে বলছেন অন্য কারণ বিবেচনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অঞ্চলের আয়েশি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অভ্যাস হয়ে গেছে নিয়মিত রেস্তোরাঁয় খাওয়ার। রোজ রোজ রেস্তোরাঁয় খাওয়ার কারণে শরীরে নানারকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ, রেস্তোরাঁর খাবারে ব্যবহার করা হয় ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ যাকে আজিনামোটো নামে চেনে সবাই। ‘আজিনামোটো’ আসলে প্যাকেটজাত ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ বিক্রয়কারী সংস্থার নাম। মাত্রাতিরিক্ত ‘মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট’ ডেকে আনতে পারে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা এবং বৃহদন্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্যান্সার! সেজন্য এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এড়িয়ে চলতে হবে চাইনিজ খাবার।
এইচএ/পিআর