ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেএফসি কর্মী, চালু ‘কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৮০০-এর বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। প্রতিদিনই নতুন করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এ ভাইরাসে। এবার ফ্রাইড চিকেন ফাস্ট ফুড চেন কেএফসির এক কর্মীর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চীনের শানজি প্রদেশের জিয়ানে কেএফসির একটি শাখায় কাজ করতেন ওই কর্মী। চায়না নিউজের খবর অনুযায়ী, গত মাসের শেষ দিকেও কেএফসির ওই কর্মী ফ্রন্ট ডেস্কে কাজ করতেন। তার প্রধান কাজ ছিল খাবার প্রস্তুত করা।

চীনে ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে ব্যবসা করা মার্কিন আরও অনেক ফ্রাঞ্চাইজির মতো কেএফসিও তাদের রেস্তোরাঁগুলো সাময়িক বন্ধ রেখেছে।

চীন ছাড়াও এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ৮০০-এর বেশি।

চীনে কেএফসি ছাড়াও পিৎজা হাট ও ট্যাকো বেল পরিচালনা করে ইয়াম চায়না। এ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর চীনজুড়ে তারা তাদের ৯ হাজার ২০০ আউটলেট বন্ধ করেছে।

কেএফসি বলছে, যে আউটলেটগুলো বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো আবার কবে খোলা হবে এখনই সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আবার নতুন করে আরও আউটলেট বন্ধ হতেও পারে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বসে নেই প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে 'কন্ট্যাক্টলেস ডেলিভারি' নাম এক পদ্ধতি চালু করেছে তারা।

চীনা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট উইবোতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য ডেলিভারি ড্রাইভাররা সংক্রমণরোধী বিশেষ এক স্যুট পরছেন, মাস্ক পরছেন। এমনকি এসবের আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রাও মেপে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কোনো কোনো ডেলিভারির সাথে একটি নোটও দেয়া হচ্ছে যেখানে খাবার প্রস্তুত থেকে শুরু করে খাবার ডেলিভারি দেয়া পর্যন্ত যতজন ওই প্রক্রিয়াতে অংশ নিয়েছেন প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা লিখে দেয়া হচ্ছে।

ইয়াম চায়নার প্রধান নির্বাহী জো হাট এক বিবৃতিতে বলেছেন, সবার আগে আমরা আমাদের ক্রেতা ও কর্মীদের সুরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটিকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

এনএফ/এমকেএইচ