করোনাভাইরাস: হংকংয়ে আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী বাতিল
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হংকংয়ে আগামী ১৭ থেকে ২১ মার্চ অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
হংকং কনভেনশন ও এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলার আয়োজন করেছিল আর্ট বেসেল। চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের এই বৈশ্বিক প্লাটফর্মই হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় প্রদর্শনী বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। ২৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
আয়োজনটি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে নানা গুঞ্জন ছড়ানোর পর আর্ট বেসেল বলছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে ওঠায় হংকংয়ের প্রদর্শনী বাতিল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আর্ট বেসেলের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্ক স্পিগেলার বলেন, আয়োজনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া আমাদের জন্য ছিল খুবই কঠিন ছিল। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বহু চিত্রকর, সংগ্রাহক, অংশীদারসহ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ ও মতামত নিয়ে তা বিচার করে বিকল্প উপায় খুঁজে দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় শেষমেষ মেলার আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং হলো চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে একমাত্র জায়গা যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত হংকংয়ে ২৪ জনেরও বেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বেইজিং ও হংকংভিত্তিক সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি ও আর্টস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পেকিন ফাইন আর্টসের পরিচালক মেগ ম্যাগিও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরে এই সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত এবং অনিবার্য ছিল। এ মেলা বাতিলের সিদ্ধান্তই আমি আশা করেছিলাম এবং এ সিদ্ধান্তের জন্য আর্ট বেসেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
গত বছর এই আয়োজনে দর্শনার্থী হয়েছিল ৮৮ হাজার। আর্ট বেসেল জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী বছরের ২৫ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন হবে হংকংয়ে।
এদিকে আর্ট বেসেলের চিত্র প্রদর্শনীর সঙ্গে একই সময়ে ‘আর্ট সেন্ট্রাল’ নামে আরেকটি প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিল হংকংয়ে। করোনাভাইরাসের কারণে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর এতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এতে মারা গেছেন আরও ৮৯ জন। ফলে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১৩ জনে। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৮১১ জনের। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছেন একজন করে।
এমএফ/এইচএ/পিআর